এটি উপজেলা পরিষদে প্রবেশের প্রধান গেইট । এটি ছাড়াও আরো তিন টি প্রবেশ দার আছে ।
১৬১টি মৌজা ও ২৪২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত দৌলতপুর উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে।
নির্বাচনী এলাকা ও জনপ্রতিনিধি
২০০১ সালের বাংলাদেশ আদমশুমারী অনুযায়ী দৌলতপুর উপজেলার জনসংখ্যা ৪,৪৩,৯৬০ জন। এর মধ্যে ৫১.৪২ শতাংশ পুরুষ ও বাকী ৪৮.৫৮ শতাংশ নারী। উপজেলার আঠারোর্ধ জনসংখ্যা ১,৭৮,৫৩৯ জন। এখানকার স্বাক্ষরতার হার ৬৫.৫% (৭+ বছর বয়সী) যেখানে জাতীয় পর্যায়ে স্বাক্ষরতার হার ৬২.৪%।[৪]
ধর্ম
মোট জনসংখ্যার ৯৯.২৮% মুসলিম ও ০.৭২% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এখানে ১৬০ টি মসজিদ , ১ টি মন্দির ও ১ টি গির্জা রয়েছে।
স্বাস্থ্য চিকিৎসা দিক দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে, তবুও এখানে আছে ৫০ বেডের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস, এছাড়া আছি প্রতি ওর্যাডে একটি করে কমিনিটি ক্লিনিক।
দৌলতপুর উপজেলার স্বাক্ষরতার হার ৬৭%; যার মধ্যে ৭৩%% পুরুষ ও ৬১% মহিলা। এই উপজেলার রয়েছেঃ
== কৃষি == দৌলতপুর উপজেলা তামাক চাষের জন্যে বিশ্ব বিখ্যাত। এখানে প্রচুর তামাক উৎপাদন হয় যা দেশের চাহিদা পুরন করে বিদেশে রপ্তানি হয়। উপজেলার দিঘলকান্দী, আমদহ, হরিণগাছি (পাইক পাড়া), পিয়ারপুর,রিফাইতপুর এলাকায় শতকরা ৯৯.৯৯ ভাগ জমিতে তামাক চাষ হয়। এছাড়া তারাগুনি মাথরাপুর এলাকায় প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়, যা স্থানীয় চাহিদা পুরন করে ঢাকাসহ দেশের অন্যে এলাকায় পাঠানো হয়।
শিল্প-প্রতিষ্ঠান
এই উপজেলা যেমন কৃষিতে এগিয়ে তেমনি শিল্প প্রতিষ্টানে অনেক উন্নত। এখানে বিশ্বাস পরিবাবের বেশ কয়েক টি বড় শিল্প প্রতিষ্টান আছে, যেমন, নাসির টোব্যাকো ইন্ডাষ্টিজ, নাসির বিড়ি,নাসির সিগারেট, রকেট ম্যাচ,২ স্টার ম্যাচ, বায়জিত অ্যাটো রাইচ মিল ইত্যাদি কল কারখানা, এখানে অনুমানিক ১ লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে প্রত্যক্ষ -পরোক্ষ ভাবে। এছাড়া অনেক ছোট ছোট কল কারখানা আছে।
সড়কপথ
কুষ্টিয়া শহর থেকে সরাসরি সড়ক পথে দৌলতপুরে যাওয়া যায়। প্রতি ১০ মিনিট পর পর বাস যায়।
রেলপথ
দৌলতপুরে কোন রেল পথ নেই।
দৌলতপুর বাসির দীর্ঘ দিনের দাবি এখানে রেলপথ স্থাপন করা হোক.. এছাড়াও এখানে একটি স্থলবন্দর (প্রাগপুর) এর জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে
এই উপজেলায় দর্শনীয় স্থান তেমন কিছু নেই বলেই চলে। নাসির সিগারেট ফ্যাক্টরি, পদ্মা নদীর পাড় আর প্রাগপুর স্থল বন্দর দেখার মত স্থান।